মহাকাশ নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণার নতুন নতুন মাইলফলক তৈরি করছেন বিজ্ঞানীরা। বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে মহাকাশযান নির্মাণ করে অজানার সন্ধানে পাঠাচ্ছেন তারা। ১৯৫০-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন মহাকাশের প্রথম ধাপ খ্যাত চাঁদ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতায় লিপ্ত ছিল।

বর্তমানে মহাকাশ গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী চীন। শুধু নক্ষত্র খোঁজার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় দেশটি। সেখানে নতুন নতুন খাবার তৈরি করে আলোড়ন সৃষ্টি করছে চীন। উত্তর-পূর্ব চীনের বিস্তীর্ণ জমিতে পরীক্ষামূলক ফলনকৃত শস্যগুলো সাধারণ উদ্ভিদ নয়। চীনের সংবাদমাধ্যমের দাবি এসবের বীজ মহাকাশে তৈরি করা হয়েছে। লুয়ুয়ান ৫০২ নামে পরিচিত গমের ওই জাতটি এখন চীনের দ্বিতীয় সর্বাধিক ফলনকৃত খাদ্যশস্যের তকমা পেয়েছে। চীনের দাবি, বীজ থেকে প্রজনন ঘটিয়ে পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে ৩৪০ কিলোমিটার দূরের কক্ষপথে পাঠানো হয়।

সেখানে কম মধ্যাকর্ষণ পরিবেশে এবং আমাদের গ্রহের প্রতিরক্ষামূলক চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের বাইরে বীজগুলোর ডিএনএ-তে সূক্ষ্ম পরিবর্তন গ্রহণ করে যা বীজগুলোকর নতুন গুণাবলী দেয়। প্রশ্ন আসতে পারে, এতে করে কীভাবে উপকৃত হলো গমের এই জাতটি। সহজ উত্তর, পৃথিবীর ক্রমবর্ধমান জলবায়ুর পরিবর্তনে সৃষ্ট ভয়ঙ্কর রোগবালাই প্রতিরোধে অত্যধিক সক্ষমতা অর্জন করে বীজগুলো। অর্থাৎ, চীন প্রস্তুতি নিচ্ছে জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট সংকট মোকাবেলা করতে!